নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ করোনা প্রাদুর্ভাবের কারনে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রতিটি অসহায় ও দ্রারিদ্র মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে দিন-রাত অব্যাহত চেষ্টা করে যাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মানুষ।

সুত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম পিরোজপুর বাসীকে সচেতন করতে লিফলেট মাস্ক, স্যানিটাইজার ও সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা থেকে শুরু করে বাজার মনিটরিং, সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে মাইকিংসহ নানা মুখি প্রদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। করোনার কারনে অফিস আদালত, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়ে কয়েকশত অসহায় মানুষ। এসব মানুষের খাবার নিশ্চিত করতে উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ৮ হাজার পরিবারের মাঝে খাবার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। এজন্য শুধু পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবন ও আটাসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়া তিনি পিরোজপুর প্রতিবন্ধি ও হিজড়াদের মাঝেও বিতরণ করেছেন নগদ অর্থ ও ত্রাণ সামগ্রী। প্রতিদিনই এসব খাবার সামগ্রী তিনি তার ইউনিয়নের মেম্বার ও নেতাকর্মী দিয়ে প্রতিটি অসহায়দের ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন। ত্রান বিতরনে জন্য তিনি একটি জরুরী সেবা নাম্বারও চালু করেছেন। যারাই এ নাম্বারে ফোন দিবেন তাদের ঘরেই পৌছে দিচ্ছেন খাবার।

এছাড়া পুলিশ সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্যও প্রদান করেছেন পিপিইসহ অন্যান্য করেনা সুরক্ষা সামগ্রী।

এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আজ পৃথিবী এমন একটি সময় পার করছে যা আমাদের প্রজম্ম দেখেনি। সারা পৃথিবীর এমন ক্রান্ত্রিলগ্নে আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে ঘরে বসে থাকতে পারিনা। আমি আমার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়ে জনগনের পাশে দাড়াতে চাই। আল্লাহ যদি আমাকে কবুর করেন তাহলে আমি পিরোজপুর ইউনিয়নের একটি অসহায় পরিবারকেও না খেয়ে থাকতে দিব না। সেই লক্ষ্যেই আমি কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার ৯টি ওয়ার্ডের মেম্বারদের হাতে ত্রান তুলে দিচ্ছি অসহায়দেও মাঝে বিতরণ করতে। আমি নিজেও আমার আশপাশের সকল অসহায়দের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছি। আমি জনগনের সেবার জন্য একটি হটলাইন নাম্বার ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছি কেউ যদি সে নাম্বারে কল করে তাহলে সাথে সাথে আমার লোক তার বাড়িতে খাবার পৌছে দিবে। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায়ও আমার ত্রাণ সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি। আমরা এ চেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।